কার্তিকের কুয়াশা

 

অপেক্ষায়

বেদানুজ চক্রবর্তী







কাল বিশ্বকর্মা পুজো।

কারখানার বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলেন উমেশবাবু।এক হাঁটু ঘাস আর পার্থেনিয়ামের ঝোপ ঠেলে বিরাট লোহার দরজাটার কাছে গিয়ে দাঁড়ালে লকআউটের নোটিশটা এখনো দেখা যায়। বিগত বর্ষার জলে ধুয়ে গেছে অক্ষরগুলো । ধুয়ে গেছে কারখানা বন্ধের অজুহাত পত্রটা। শুধু সাদা কাগজখানা বোবার মত আটকে আছে লোহার গেটে।

ওই বোবা কাগজটার সামনে দাঁড়িয়ে আজ থেকে ঠিক নয় মাস আগে, তিনিও অনেকের মতোই বোবা হয়ে গিয়েছিলেন।



বড্ড ঘাস হয়েছে এখানে। উমেশবাবুর মনে হল জায়গাটা আজকের দিনে অন্তত একটু পরিষ্কার রাখা দরকার । কিন্তু কে এই জঙ্গল পরিষ্কার করবে? লেবারদের কাউকে এখন পাওয়া যাবে কি? একটু এগিয়ে দেখলে হতো । দু’পা এগোতেই শরতের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। শরত প্যাকিং সেকশনে লেবার ছিল। তিনি যদিও প্রোডাকশনে ফোরম্যান হিসাবে কাজ করেছেন, তবুও, মাঝারি মাপের এই কারখানার মোটামুটি প্রত্যেকেই প্রত্যেককে চেনেন। উমেশবাবু শরতকে বললেন কথাটা। কিন্তু শরতের গলায় কোনও আগ্রহ শোনা গেল না।



‘ কে এই জঙ্গল সাফ করবে , স্যার। কি হবে করে? ফ্যাক্টরি কি আর খুলবে বলে মনে হয় ? মালিক তো শুনছি কারখানা বেচে দেবে ঠিক করেচে। ‘

কথাটা উমেশবাবুরও কানে এসেছে। এই কারখানা বিক্রি হয়ে যাবে। যে কিনবে এটা, সেও কি এটা কে চালাবে না? শরতকেই বলে ফেলেন মনের কথাটা।

‘ আচ্ছা শরত, তোমার কি মনে হয়, নতুন মালিকও ফ্যাক্টরি চালাতে পারবে না ? কিন্তু প্রোডাকশন তো কিছু কম হতো না আমাদের। তবে ? ‘



শরত জানত ফোরম্যান বাবুটির মানসিক অবস্থার কথা। এ যন্ত্রণায় সকলেই জ্বলেছে কম বেশি। লেবাররা তবু গায়ে গতরের কাজ জুটিয়ে যে যার মত টিকে আছে। এই সব শিক্ষিত বাবুদেরই যত জ্বালা।

‘ নতুন মালিকের তো হোটেলের ব্যবসা,’ গলায় একটু সান্ত্বনা ফুটিয়ে শরত বলে, ‘ তা, চালাতেও পারে। দ্যাখা যাক। সামনের হপ্তায় তো মিটিন আচে শুনেচি’।

অতঃপর শরত এগিয়ে যায়।

উমেশ বাবুর মনে হল, শরত তাঁকে অতিক্রম করে গেল। একটা অন্ধ বিশ্বাসের বেষ্টনীতে আবদ্ধ হয়ে আছেন তিনি। থমকে আছেন। একটা আশার আলোকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন মনে মনে। সরকার তো দেশের উন্নতি চায়। তবে ? উৎপাদন ছাড়া, শুধু হোটেল ব্যবসায় কি দেশের উন্নতি হয় ? কে জানে!

নিজের রুজি রুটির জন্যে শুধু নয়, উমেশবাবুর মনে হল এই দেশের স্বার্থেও কারখানাটা খোলা দরকার। কিন্তু খুলবে কি ?



শরত এগিয়ে গেল। ওসব কিছু মেনে নিয়ে সামনের দিকে তাকাতে পারছে। একটা সাধারন লেবার যা সহজে পারছে, তিনি পড়াশোনা জানা একজন ফোরম্যান হয়েও তা পারছেন না।



বইপত্র বন্ধ করে বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পড়ল শান্তনু। মাথাটা একটু ভার লাগছে। কাল সারা রাত ভাল ঘুম হয়নি। বারবার স্মৃতির ঝাপটায় তন্দ্রা ভেঙে যাচ্ছিল। রূপসার মুখ কেন চোখের সামনে এতবার আসে ! যা হওয়ার নয়, মন তাই চায় অবোধ শিশুর মতন। পাবে না জেনেও ছোটবেলার মত বায়না করে মন। কোনও দিন কি পেয়েছে, যা চেয়েছে ? একটা খাতা টেনে নিয়ে শান্তনু লিখল –

“ আমের মুকুল গুলি ঝরে গেছে পথে,

আকাশে ফেরারি গাংচিল

আমার আকাশ আজ মেঘে ঢেকে গেছে,

তোমার আকাশ কেন নীল !”

লিখেই মনে পড়ল ইস্কুলে রবিনবাবুর কথা। স্যার ঠিকই বলেছিলেন, একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেবারের মধ্যমেধার সন্তানের পক্ষে কাব্যচর্চা বিড়ম্বনা মাত্র। তাও যদি বাবার ফ্যাক্টরিটা খোলা থাকতো। আজ কতদিন হল বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এই জন্য মাঝে মাঝে মনে হয় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে যদি চাষবাস করা যেত। কি হবে এই ডিপ্লোমাটা করে? সেই তো কোন ফ্যাক্টরিতে গিয়ে ঢুকতে হবে। আর সেটাও হয়ত একদিন এইরকম বিনা নোটিশে বন্ধ হয়ে যাবে। তার চেয়ে চাষবাস অনেক সিকিওর। জমির ফসল তো কেউ কেড়ে নেবে না !

কিন্তু রূপসা কি একটা চাষাকে বিয়ে করতে রাজি হবে কোনোদিন ?







সুধা বোধহয় একটু আনমনা হয়ে পড়েছিলেন।

ডাল সাঁৎলানোর শব্দে তাঁর বুকের ভিতর টা ছ্যাঁত করে উঠলো। আজকাল একটুতেই চমকে উঠছেন তিনি। আঁচল দিয়ে চশমার কাঁচটা মুছে নিয়ে ফুটন্ত ডালের কড়াটা নামিয়ে নেন। ভাত হয়ে গেছে। শুধু তরকারীটা বাকি। জলের বাটিতে কুটনো আনাজগুলো ভাসছে। সস্তার কচু আর আলু। তাও সস্তা নাকি ! আলু দশ টাকা কেজি। কচু ষোলো। পটল-বেগুন তো হাত দেওয়া যায় না, যা দাম। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাই কচু আলুর দম।

স্বামী- সন্তানের পাতে প্রতিদিন এইসব তুলে দিতে দিতে নিজের ওপরই ঘেন্না হয় সুধার। তিনি যদি লেখাপড়া শিখতেন আরও একটু ! ঐ তো পুলিনবাবুর বৌ, কেমন বাচ্ছাদের ইস্কুলে চাকরি পেয়েছে। তিনিও কি পারেন না ? মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতা কি ঐ কচিগুলোকে শেখাবার পক্ষেও যথেষ্ট নয় ? কে জানে। হয়ত নয়। তিনি শুধু রাঁধুনির চাকরি পান। মিড ডে মিলের রাঁধুনি। উমেশবাবুর প্রবল আপত্তিতে যে চাকরি বেশিদিন করা হয় না তাঁর। কিন্তু এইভাবে প্রতিদিন ক্ষয়ে ক্ষয়ে শেষ হয়ে যাওয়া আর বরদাস্ত হচ্ছে না। কেন এমনটা হবে ? কেন শুধু তাঁর বেলাতেই এত কষ্ট লেখা থাকবে ? কই তাঁর আর বোনেরা তো দিব্যি আছে । কেউ তো খোঁজও রাখল না, এই ন’টা মাস তাঁর চলছে কেমন করে । প্রচণ্ড রাগ হয় তাঁর। মাঝে মাঝে যেন আগুন জ্বলে ওঠে মাথায়।





‘ভাত বেড়েছি খোকা, খাবি আয়। তোর বাবা কি ফিরেছে, দ্যাখতো ?’

উমেশবাবু সুধার এই ডাকটার জন্যই বসেছিলেন। জলখাবারের পাট এড়ানোর ফলে এইসময়টা প্রচণ্ড একটা খিদে পায় তাঁর । খোকা এসে বসার আগেই তিনি বারান্দায় নির্দিষ্ট আসনে বসে পড়েন। শান্তনু এসে বসলে সুধা ভাতের থালা এগিয়ে দেন।



‘তোর চোখমুখ এ রকম কেন রে খোকা ? শরীর খারাপ নাকি ?’ সুধা ছেলের কপালে হাত রাখেন।



‘ হাত সরাও’- বাঁ হাতের ঝাপটায় তাঁর হাতটা সরিয়ে দেয় শান্তনু।



‘জ্বর তো নেই। কি হয়েছে রে? চোখ বসে গেছে কেন ? ঘুমোস না রাত্তিরে ?’ সুধা প্রশ্ন করেন।



‘রাত্তিরে পড়ছিলাম’- পাশ কাটানোর চেষ্টা করে শান্তনু।



যেহেতু শান্তনুর ঘর তাঁদের ঘরের সংলগ্ন, এবং গতরাতে সে ঘরে কোনও আলোর রেখা দেখা যায়নি, তাই উমেশবাবু অনিচ্ছা সত্বেও মৃদু প্রতিবাদ করে ফেলেন-

‘ কিন্তু কাল তো তোর ঘরে আলো জ্বলছিল না!’



‘তবে কি আমি মিথ্যে বলছি ?’ – শান্তনুর গলাটা এবার চড়া ।



উমেশ বাবু স্পষ্ট বুঝতে পারেন ও মিথ্যে বলছে এবং তাঁর এখানেই থেমে যাওয়া উচিত। কিন্তু তা সত্বেও কেমন একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি।



‘হ্যাঁ, তাই বলছিস। মুখের উপর মিথ্যে কথা বলছিস। ভালই তৈরী হচ্ছো দিন দিন। আরও কি কি গুণপনা হয়েছে কে জানে !’



শান্তনুর খাওয়া প্রায় হয়ে গিয়েছিল। জবাব না দিয়ে থালাটা সামনের দিকে ঠেলে উঠে পড়ে সে। উমেশবাবু সন্তানের কাছ থেকে একটু ভাল কথা, একটু নম্রতা আশা করেছিলেন। কিন্তু শান্তনুর এই আচরণে তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন।



‘ ছেলেটার খাওয়া হল না। কি দরকার ছিল তোমার খবরদারি করার ?’



বলতে বলতে সুধার মনে হয় এই লোকটাই দায়ী তাঁর কষ্টের জন্য।



‘কোন ভালোটা করেছো তুমি? কোনো খোঁজ রাখ ? ছেলেটা পড়ছে কি, কি করছে, কিছু দেখেছো কখনো ? আজ যে কথা বলতে গেলে ?’ সুধার গলার স্বর ক্রমশ চড়তে থাকে।



উমেশবাবু কি বলবেন ভেবে পান না।

বলবেন কি, তিনি অনেক কিছুই খবর রাখেন ? খোকা ডিপ্লোমা পড়ছে মায়ের গয়না বেচা টাকায়, তিনি খবর রাখেন। খবর রাখেন কবে ওর পরীক্ষা, ও কি খেয়ে যায় পড়তে, কখন ফেরে, কাদের সঙ্গে মেশে। সুধাকে বলবেন কি, যে তিনি জানেন খোকা ইস্কুলে একবার আবৃত্তির জন্য প্রাইজ পেয়ে ছিল, খোকা ইংরাজিতে অনার্স পড়তে চেয়েছিল, এখনও ওর লেখার হাতের প্রশংসা করেন ইস্কুলের মাষ্টারমশায়রা, এসব তিনি জানেন ! সুধাকে বলবেন কি, তিনি খোকাকে পরেশ বাবুর মেয়ের সঙ্গে একবার দেখেছেন জুটমিলের মাঠে, বোধ হয় ওদের ভাব- ভালবাসা..



‘তুমি কোন দিকেই বা তাকাও ? আমার দিকে একবার চেয়ে দেখেছো? দেখেছো আমি কি পড়ে থাকি ? এই এক কাপড় কতদিন পড়ে থাকি। কখনো জিগ্যেস করেছ আর কাপড় আছে কিনা ? আর ক’টা দিন পরেই পুজো। একবারও মনে হয়েচে, ছেলে বৌ কে নতুন কাপড় কিনে দিই?’ বলতে বলতে সুধার আশ্চর্য লাগে, কান্না পাচ্ছে না কেন তার। শুধু ক্ষোভের আগুনে সামনে বসা নিশ্চুপ লোকটা কে পুড়িয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।



সামনে বসা নিশ্চুপ লোকটি, উমেশবাবু, আশ্চর্য মনে দেখছিলেন সুধার মুখচ্ছবি। ও যদি কাঁদতো, তাহলে হয়তো এত আশ্চর্য লাগত না। কিন্তু সুধা কাঁদছে না। কাঁদলে বোধ হয় ভাল লাগত তাঁর। ভেতরের ক্ষোভ গলন্ত লাভা স্রোতের মতো বেরিয়ে আসছে ওর মুখ থেকে।

অদ্ভুত ভাবে, একটা অন্য কথা মনে পড়ে গেল তাঁর। কোথায় যেন শুনেছিলেন, পার্থেনিয়াম মাটির নিচের আর্সেনিক বিষ তুলে আনে ওপরে । কারখানার গেটের কাছে পার্থেনিয়ামের জঙ্গল হয়ে আছে।

আচ্ছা, এমন কেউ কি নেই, যে ঐ জঙ্গল সাফ করে দিতে পারে ?

***

 

প্রজাপতি
মিলি দাস
বাড়ির প্রত্যেকটা কোনা হাতড়ানো হয়ে গেছে তন্ন তন্ন করে| শুনেছিল, মোজার মধ্যে নাকি সান্তা বুড়ো gift রেখে যায়, যা চাই সব পাই| অসংখ্য তাঁরার আকাশে চোখ রেখে ভেবেছিল "সান্তা বুড়ো, তোমাকেই চাই, তবেই তো আমার সবটুকু পাওয়া হবে, যখন যেমন, তখন তেমন, বেশ মজা|” হাজার স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুমিয়েছিল|

সকালবেলায় ঘুম ভাঙ্গতে টুথব্রাশের নিচে, কিম্বা বাবার জুতোর গোটানো মোজায়, কিছুই বাদ পরেনি| যদি সান্তা বুড়ো ভুল করে বাবার মোজায় ঢোকে ! বাড়িটা তখনও খোজা বাকি| কত জায়গা সব কি দেখা হয়েছে ….? নাহ, স্কুল থেকে ফিরে ভালো করে খুঁজতে হবে|

“Roll no 21?” ক্লাসে বসে অথচ উত্তর নেই| পেন্সিল বক্সটা বারবার খুলছে আর বন্ধ করছে .., ব্যাগটা যে কত বার ঝাড়া হয়ে গেল ! সব বন্ধুরা আজকে কত খুশি! কিন্তু নিজের কপালে আজকে বকা! "Roll no 21? Where r u? What r u doing?" প্রথম ক্লাসটা কোনো মতে কেটে যায়| অঙ্কগুলো সব ভুলভাল হয়ে গেছে| ২টি গাড়ি যদি পাশাপাশি ছোটে একটা 5km/hr আর অন্যটা 7km/hr তবে কোন গাড়িটা কত আগে একটা স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে পৌছবে ? দুটো স্টেশনের মাঝের দুরত্ব 35 km?

জানালার পাশে প্রচুর চড়াই .. টিফিন বক্সে প্রিয় খাবারের গন্ধ .. কিন্তু খুলতেই, মনটা খারাপ হয়ে গেল ! এখানেও নেই ! চড়াইগুলোকে একটু একটু করে গোটা sandwitch-টা শেষ করাতে হবে .. কি সুন্দর ! বাড়ির রাস্তায় কাঁচা আমড়ার উপর বিট-নুন অন্য দিন খুব টানে, bus-টা অন্যদিন অনেক জোরে চলে, আজ সবকিছু বড় দেরিতে চলেছে- শেষের ক্লাসগুলো, ইতিহাসের ক্লাস, এমন কি মা-ও বড্ড দেরিতে এসেছিল|

টম এন্ড জেরি-তে আজকে কি হয়েছে কে জানে| চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়াতে কিছু দেখা যায়নি| বাড়িতে সব জায়গায় মোটামুটি দেখা হয়ে গেছে| মা-এর বকা অঙ্ক-র পাতা খুলে : "বোকার মত 35-7+5 করেছ কেন, কাল পর্যন্ত তো সব-ই ঠিক করলে|”
বাড়ির আন্টি আসায় চার পাশ ঘুরেছে গোল গোল, আন্টি বকেনি |
"আন্টি, আমি ভালো না, তাই না ?"
-কেন, কে বলেছে তোমায় … তুমি ভালো না !
"কেউ না !"
-তবে ?
মুখ ঝুলিয়ে বসে থাকে ..
-কি হয়েছে বলতো, মা বকেছে ?
"না ..., আমি জানি আমি ভালো না "
পোষা মিনি বেড়ালের মত গায়ে গা ঘষে, মিষ্টির প্লেটে চামচ নেড়ে চলে .
-কি হয়েছে বুকু ..?
-"কিছু না "
মুখ নিচে, খোপ কাটা মোসাইক-এ পায়ের ডগায় বড় পিপড়েগুলোকে মিষ্টির দানা ফেলে ডাকে, আর কাছে এলেই পা এর বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে তাড়ায়.
ঘড়িতে আঁটটা, আন্টি চলে যাবে এইবার .
"আমাকে কেউ ভালবাসে না !"
ছোট্ট মুখটা তোলার চেষ্ঠা করলে জোর করে নিচে ঝুকে থাকে, তখনও গা ঘেষে .
-আমি একটা নতুন পেন কিনেছি, দেখবে ?
চোখ দুটো নিচে তবু একটু নড়ল মাথাটা, সম্মতি না অসম্মতি ঠিক বোঝা গেল না…
-এই দেখ .. কই দেখ..!
হাতে নিয়ে চুপ করে বসে .
-লাল কালি, এটা তুমি রাখো, তোমার জন্য .
"সত্যি ?"
-হমম
"আন্টি, কাল কে সব পড়া করে রাখব, একটাও ভুল হবে না, আজ কে লিখব না, মাকে বলে দাও না !"
-দেব

হাত ধরে সিঁড়ি পর্যন্ত ছুটল, "মা, আমি আন্টিকে এগিয়ে দিয়ে আসছি "